নামজারি অনেকের কাছে দুর্বোধ্য একটি বিষয়। মিউটেশন অথবা নামজারি বিষয়টি প্রণয়ন করা হয়েছে ভূমির মালিকের মালিকানা নিয়ে জটিলতা এড়ানোর জন্য। যখন কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে অথবা আইনগতভাবে ভূমি বা জমির মালিকানা অর্জন করে সরকারি রেকর্ডে মালিকানার নাম হালনাগাদ করা হলো নামজারি।
এই লেখায় আছে
নামজারি কি এবং কেন?
নামজারি বা মিউটেশন অর্থ হলো বর্তমানে থাকা খতিয়ান থেকে নতুন মালিকের নাম সংজোজন করে নতুন একটি খতিয়ান তৈরি করা। এককথায় বর্তমানে খতিয়ানে যার নাম আছে তার নামের পরিবর্তে নতুন ভূমি মালিকের নামে খতিয়ান তৈরি করা।
নামজারি যখন সম্পন্ন হয় নতুন নাম্বারে একটি খতিয়ান নতুন মালিককে দেওয়া হয়। সে খতিয়ানে নামজারীকারীর অর্জিত জমি/ভূমির সংক্ষিপ্ত বিবরণী উল্লেখ থাকে।
খতিয়ানে নতুন মালিকের নাম, কোন মৌজা, মৌজার নাম্বর (জে এল নাম্বর), জরিপের দাগ নাম্বর, দাগে মোট জমির পরিমাণ, একের অধিক মালিক হলে তাদের নির্ধারিত জমির পরিমাণ ও প্রতি বছরের ধার্যকৃত খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকবে।
নামজারি বা মিউটেশন করা জরুরী কারণ জমির মালিকানা হালনাগাদ না করলে পরে নানান বিডম্বনার শিকার হতে পারেন। পরের আলোচনা থেকে নামজারি কেনো জরুরী সেটা আপনাদের পরিষ্কার ধারণা দিবে।
নামজারি বা মিউটেশনের আইনি বিধান
নামজারিকে আইনিভানে নামপত্তন বা জমাখারিজও বলা হয়। নামজারি সংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন, ১৯৫০ সালের ধারা-১৪৩ এর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
বর্তমানে নামজারির দায়িত্ব সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর উপর ন্যস্ত আছে যা আগে উপজেলা রাজস্ব অফিসার বা সার্কেল অফিসার (রাজস্ব) এর উপর ন্যস্ত ছিলো।
ভূমির স্বত্ত্বলিপি পরিবর্তন ও সংশোধন জরিপের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। সার্ভে আইন, ১৮৭৫ সালে প্রণয়ন করা হয়। বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ত্ব আইন, ১৮৮৫ বিধি মোতাবেক ১৮৮৯ সাল থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত সি.এস জরিপ করা হয়।
এরপরে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন, ১৯৫০ প্রণয়ণ করা হয়। এই আইনের আলোকে এস.এ জরিপ ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত পরিচালিত হয়। এস.এ জরিপ পরিচালনা শেষে এস.এ রেকর্ড নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা শুরু হয়।
এই সমালোচনা পরে ১৯৬৬ সাল থেকে সরকার আর.এস জরিপ শুরু করে যা এখনো চলমান আছে। সুতরাং জরিপ ছাড়া অন্তবর্তীকালীন সময়ে ভূমির স্বত্ত্বলিপি পরিবর্তন, সংশোধন ও আপটুডেট প্রধানত জমা খারিজ, জমা একত্রিকরণ ও নামজারি সম্পাদন হয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন, ১৯৫০ এর ধারা ১১৬,১১৭ ও ১৪৩ মোতাবেক।
লেখাটি পড়তে না চাইলে ভিডিও দেখুন
কোন ক্ষেত্রে নামজারি করা যায়?
ক) ওয়ারিশমূলে মালিকানা অর্জন
জমির মালিকের মৃত্যুতে আইনগত ওয়ারিশ বা ওয়ারিশগণের অনুকূলে মৃত মালিকের অংশীয় জমির মালিকানা পরিবর্তিত হলে নামজারির আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে অংশনামা সৃজনের মাধ্যমে নামজারি হতে পারে।
খ) ক্রয়, দান, হেবামূলে মালিকানা অর্জিত হলে
রেজিস্ট্রি দলিলমূলে জমি বা ভূমি ক্রয়, দান, হেবা বা ওয়াকফ বা উইলমূলে ক্রেতা বা গ্রহীতার অনুকূলে মালিকানা হস্তান্তরিত বা পরিবর্তিত করার জন্য নামজারির আবেদন করা যায়। জমি কেনার আগে ও পরে আপনার করণীয় যে বিষয়গুলো রয়েছে তারমধ্যে নামজারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গ) জমি বন্দোবস্ত পেলে করণীয়
সরকারের নিকট থেকে কেউ খাস জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত নিলে বিধি মোতাবেক বন্দোবস্ত গ্রহীতার অনুকূলে মালিকানার পরিবর্তনের জন্য নামজারির আবেদন করা যায়।
ঘ) সরকারি অধিগ্রহণ
সরকারি প্রয়োজনে কোন সম্পত্তি অধিগ্রহণ করলে বা ক্রয় করলে সরকারের অনুকূলে মালিকানার পরিবর্তনের জন্য নামজারির আবেদন করা যায়।
ঙ) নিলামে ক্রয়
নিলাম ক্রয়কৃত জমির ক্রেতার অনুকূলে জমির মালিকানা পরিবর্তনের জন্য নামজারি হতে পারে।
চ) মালিকের স্বত্ত্ব বিলোপ
সিকস্তি বা জমিদারি উচ্ছেদ বা প্রজস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ৯০, ৯১, ৯২ ও ৯৩ ধারার আওতায় কোন মালিকের স্বত্ব বিলোপ হলে মালিকানা সরকারের অনুকূলে পরিবর্তিত হলে নামজারি হতে পারে।
ছ) ডিক্রিমূলে মালিকানা পেলে
স্বত্ব ঘোষণা সংক্রান্ত দেওয়ানি মামলার স্বত্ব ঘোষণামূলক ডিক্রি বা আদেশবলে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকানা ডিক্রি প্রাপকের অনুকূলে করার জন্য নামজারির আবেদন করা যায়।
নামজারি আবেদনের পদ্ধতি
উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে সাধারণত ৭(সাত) কারণে একজন ব্যক্তি ভূমি বা জমির মালিকানা অর্জন করতে পারে। এবং এই মালিকানা অর্জনের পর নিজ নামে খতিয়ান সৃজন করার জন্য নামজারির আবেদন করতে পারেন।
নামজারির আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট নামজারি ফর্ম আছে যার মাধ্যমে আপনি আবেদন করবেন। যে উপায়ে আপনি ভূমির মালিকানা অর্জন করেছেন সেসব কাগজপত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
বাধ্যতামূলক এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। তবে মালিক যদি একাধিক হয় সেক্ষেত্রে প্রত্যেকের এক কপি করে ছবি।
সর্বশেষ খতিয়ান মানে যার নিকট হতে জমি ক্রয় করেছেন বা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন তার খতিয়ানের ফটোকপি। ২০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফিস।
ওয়ারিশসূত্রে মালিকানাপ্রাপ্ত হলে অনধিক তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন থেকে ইস্যুকৃত মূল ওয়ারিশ সনদ। মনে রাখতে হবে যে, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩B ধারা মোতাবেক কোন রেকর্ডিয় মালিক মৃত্যুবরণ করলে তার ওয়ারিশগণ নিজেদের মধ্যে একটি বন্টননামা সম্পাদন করে রেজিস্ট্রি করা বিধান আছে। উক্ত রেজিস্টার্ড বন্টননামাসহ নামজারির জন্য আবেদন করতে পারেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জাতীয়তা সনদ।
ক্রয়সূত্রে জমির মালিক হলে দলিলের সার্টিফাইড ফটোকপি।
যদি একাধিকবার উক্ত জমি ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকলে সর্বশেষ যার নামে খতিয়ান হয়েছে তার পর থেকে সকল বায়া বা পিট দলিলের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
চলতি বঙ্গাব্দ (বাংলা সনের) ধার্যকৃত ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স) বা খাজনার রশিদ।
আদালতের রায়ের ডিক্রির মাধ্যমে যদি জমির মালিকানা লাভ করলে উক্ত ডিক্রির সার্টিফাইড ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
আপনি যেভাবে জমির মালিকানা প্রাপ্ত হয়েছেন তার উপর নির্ভর করবে কোন সংযুক্তি আপনার প্রয়োজন হবে। মূলত এসব কাগজপত্র একসাথে পিনাপ করে আপনার সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে গিয়ে নামজারির আবেদন করবেন।
নামজারি করতে কত টাকা লাগে
নামজারি করতে কত টাকা লাগে তা নিয়ে অনেকের নানান মন্তব্য আছে। মূলত আবেদন করতে প্রথমত আবেদন ফর্মটি আপনার সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে ১০ টাকা দিয়ে সংগ্রহ করতে পারেন। তাছাড়া ভূমি অফিস এলাকায় বিভিন্ন ফটোকপির দোকানগুলোতেও এই ফর্ম বিক্রি করা হয়।
এরপর আবেদন পত্রের সাথে বিশ টাকার কোর্ট ফিস লাগাতে হয়। যাদের নিকট থেকে মালিকানার অংশ নামজারির জন্য আবেদন করবেন তাদের নিকট নামজারির নোটিশ প্রেরণের জন্য ৫০ টাকা নোটিশ প্রেরণ ফিস।
রেকর্ড সংশোধন বা হালনাগাদ ফিস বাবদ জমা দিতে হয় ১০০০/= টাকা। মিউটেশনের খতিয়ান প্রাপ্তির জন্য দিতে হয় আরও ১০০/= টাকা। সর্বমোট নামজারি করতে সরকারি হিসেবে খরচ ১১৫০/= টাকা।
এখানে আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখা ভালো যে, আবেদনপত্র ও কোর্ট ফিস ছাড়া বাকি ফিসগুলো ডি.সি.আর (ডুপ্লিকেট কার্বন রশিদ) এর মাধ্যমে আদায় করা হয়ে থাকে।
নামজারি বা মিউটেশনের সুবিধা কি
নামজারি করার মাধ্যমে সাবেক মালিকের পরিবর্তে নতুন মালিকের নাম রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত থাকে বলে সাবেক মালিক প্রতারণার মাধ্যমে একই জমি একাধিকবার বিক্রয় করতে পারে না। যার কারণে জমি নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটে।
নতুন মালিকের নিজ নামে স্বতন্ত্র খতিয়ান সৃষ্টি হওয়ার ফলে জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে সর্বক্ষেত্রে এই খতিয়ান গ্রহণযোগ্য হয়।
পাশাপাশি খারিজ খতিয়ানের উপর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যায়। এবং এই দাখিলা সহজে ভূমির মালিকানা ও দখল প্রমাণ করে।
গৃহ নির্মাণ, ব্যাংক ঋণ, জমি বিক্রয় প্রভৃতি কাজের জন্য নামজারি ও জমাখারিজ অধিকতর কাজে আসে। সহজে ভূমির মালিকানা প্রমাণের জন্য নামজারির বিকল্প নেই।
নামজারী আদেশমূলে সৃষ্ট সংশোধিত খতিয়ানের কপি সহকারী কমিশনারের মাধ্যমে বা ভূমি মালিকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সহকার সেটেলমেন্ট অফিসার বা জরিপকালে/ বুঝারত/ তসদিক/ আপত্তি স্তরে কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করা হলে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েল ১৯৯০’ এর ৩২০ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে জরিপ কর্তৃপক্ষ ‘সংশোধিত খতিয়ানের’ ভিত্তিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করতে পারেন।
সঠিক সময়ে নামজারি না করলে অসুবিধা
সঠিক সময়ে নামজারি বা মিউটেশন না করলে বিক্রেতা বা পূর্বের মালিক একই জমি একাধিক ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করার সুযোগ পায় যার কারণে পরবর্তীতে নানান আইনি জটিলতার সৃষ্টি করে।
যৌথ খতিয়ানের জমির দখল নিয়েও জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। নামজারি করা না হলে নিজ নামে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যায় না।
আমাদের পরামর্শ
বর্তমান সময়ে আদালতে মামলার সংখ্যা বিচারে ভূমি সংক্রান্ত মামলার পরিমাণ অনেকগুণে বেশি। তাছাড়া বিভিন্ন ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে যে, বেশিরভাগ মারামারি সংক্রান্ত মামলাও হচ্ছে ভূমির মালিকানা নিয়ে সংঘাতের কারণে।
সুতরাং বর্তমান সময়ে ভূমির পরিষ্কার মালিকানা নিশ্চিতের জন্য নামজারি বা মিউটেশনের কোন বিকল্প নেই। কোন জমির মালিকানা পাওয়ার সাথে সাথেই আপনার প্রথম দায়িত্ব হোক নামজারি অথবা মিউটেশন। ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্র: অ্যাডভোকেট জওহরলাল দাশ, “বাংলাদেশের ভূমি আইন” হিরা পাবলিকেশন ও অন্তর্জাল।
আমার কাছে ভালো লাগলো,,, তবে হেবা কার কাছে করা হয়,কে কাকে করতে পারে তা নিয়ে মন্তব্য করবেন
ধন্যবাদ মুজাহিদুল ভাই। সাধারণত দানকে মুসলিম আইনে হেবা বলে। সম্পত্তি হস্তান্তর আইন ১৮৮২,এর ১২২ধারায় বলা হয়েছে,”কোন সম্পত্তি দাতা কর্তৃক কোন ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে সম্পদের বিনিময়ে কোন মূল্য গ্রহণ না করে তাৎক্ষণিকভাবে হস্তান্তর করলে এবং গ্রহীতা বা তার পক্ষে কোন ব্যক্তি সেটি গ্রহণ করলে তাকে দান বা হেবা বলে”। সুতরাং যেকেউ তার পছন্দের কাউকে হেবা বা দান করতে পারে। আশা করি বিষয়টি খোলাসা হয়েছে।
[…] নামজারি করার সঠিক নিয়ম […]
আমার বাবা কোন একটা জমির৩৩ শতাংশের মধ্যে ২৬ শতাংশ বিক্রি করেছে,বাকী ৭ শতাংশের মাঝ দিয়ে নদী চলে গেছে,এখন ঐ ৭ শতাংশের মালিক কে হবে? ক্রেতা নাকি বিক্রেতা?
ধন্যবাদ সুন্দর উপস্থাপনের জন্য।
স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি যেমনঃ(পিজিসিবি/ডিপিডিসি) কর্তৃক অধিগ্রহণ কৃত বড় পরিমাপের জমি প্রায় (১২০০-১৪০০) একর নাম জারির ক্ষেত্রে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে? সে ক্ষেত্রে নাম জারির প্রক্রিয়া কিভাবে হবে।
ধন্যবাদ। এক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের আইন অনুযায়ী হবে।
৭ শতাংশ বিক্রি না করলে এটার মালিক অবশ্যই আপনার বাবা হবে।
নামজারী করা কি বাধ্যতামূলক?
নাকি স্বেচ্ছাধীন?
সুযোগ থাকলে একটু জানাবেন,
কোন আইন দ্বারা নামজারী বাধ্যতামূলক করা হয়েছে?
নামজারি করা বাধ্যতামূলক। তবে আপনি নামজারি না করলেও কেউ আপনকে কিছু বলবে এমন না। আপনি একটি জমি কিনে যদি নামজারি না করেন তাহলে আপনি প্রতারিত হতে পারেন। এই আর্টিকেলটি সময় নিয়ে পড়ুন আশা করি আপনার সকল উত্তর আপনি পাবেন।
নাম জারি করতে কি কি দলিল লাগে একটু বলবেন??,
এই আর্টিকেলেই সব তথ্য দেওয়া আছে।
পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমির মালিকগন আলাদা ভাবে নামজারি করতে হলে কি সকল অংশীদারের সম্মতি প্রয়োজন ?
অংশীদারদের সম্মতির প্রয়োজন নেই। আপনার যতটুকু প্রাপ্য ততটুকু মিউটেশন করতে পারবেন।
ওয়ারিশমূলে মালিকানা অর্জনbut
প্রত্যেক দাগে দাগে অংশহারে নামজারি কিভাবে করতে হয়?
এই আর্টিকেলেই সব দেওয়া আছে।
হাইকোর্ট এ মামলা খারিজ হলে ,এরপর নামজারির জন্য কি কি করতে হবে
Ami ekti flat mutation korte chai, ami ki kuno vabe apner sate contact korte peri…
contact no: 01739729013
দয়া করে একটু উপকার করুন
আমি ৫.৫০শতাংশ জমি ক্রয় করিয়াছি।
দলিলে উল্লেখ আছে
৩১৫ নং দাগে নাল ৫ শতাংশ
২১৮ নং দাগে বাড়ী ০.৫০শতাংশ।
মোট ৫.৫০শতাংশ।
কিন্তূ দলিল লেখক ভুলে ০.৫০শতাংশ বাড়ী দাগে লিখছে,
সম্পূর্ণ জমিটাই ৫.৫০ শতাংশ হবে নাল দাগে।
আমার জমি এখন কতটুকু টিকবে? এই অবস্থায় আমি কি মিউটিশন করতে পারবো?
দয়া করে সঠিক সমাধান দিয়ে উপকার করুন।
আপনার এই বিষয়টি নিয়ে আপনার সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড অফিসে যোগাযোগ করুন।
আমার বাবার একটা শরিকানা জমি আছে যেটা ৩০ বছর ধরে আমাদের দখলে তার পাশেই আমার কাকার জমি কিন্তু সমস্য হল কিছু দিন আগে দেখি নামজারি কাকারটা আমার বাবার নামে আর আমার বাবারা আমার কাকার নামে। এখন আমাদের জমিতে গাছ লাগানো আছে কিন্তু কাকা এখন বলছে জায়গা পরিবর্তন করতে। এ ক্ষত্রে আমাদের কি করার আাছে??
যেহেতু আপনাদের পরিবারের মধ্যেই এই সমস্য। আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। আর তা যদি না হয় তাহলে উপজেলা ভূমি কমিশনারের সহায়তা নিন।
৩০ বছর পূর্বের ক্রয়কৃত জমি নামজারি করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে খতিয়ান ওয়াকফ হিসেবে রেকর্ড আছে, এই জমি ধারাবাহিক আরও দুই জনের কাছে বিক্রি হওয়ার পর আমরা ক্রয় করি, জমিটি এখন পযন্ত আমাদের দখলে আছে, এখন আমাদের নামে নামজারি করব কিভাবে?
আগে যে দলিল সে দলিল কার্যকর হবে। সুতরাং আপনাদের পরপর দলিলগুলো মিলিয়ে দেখতে হবে।
আমার বাবা মারা গেছেন.. এখন ওয়ারিশ সার্টিফিকেট বের করলে কি আমরা নামজারি করতে পারবো?
জ্বি, পারবেন।
ভাই, একটি জমির মধ্যে বর্তমানে 20 জনের মতো ওয়ারিশ রর্য়েছে। জায়গাটিতে আমার বাবা অন্যতম অংশিদার ছিলেন। আমার বাবা মারা যাওয়াতে আমরা এখন ওয়ারিশ হয়েছি। আচ্ছা এখন কি আমরা 5 ভাইবোন ও আম্মার মধ্যে বন্টননামা দেখিয়ে দখলঅনুযায়ী ঔ জায়াগায় চৌহদ্দি দেখিয়ে নামজারী করতে পারবো?
অবশ্যই পারবেন। তাছাড়া নামজারি করাটা খুবই জরুরী।
নামজারি আবেদন করার পরে কি করতে হয়?
কতদিন পরে এসিল্যান্ড অফিস থেকে ডাকে?
নাকি নিজেই যেতে হয় ?
‘আবেদন করার পরে নিজ নামে খতিয়ান পাওয়ার আগে’র প্রক্রিয়া টা একটু সহজ করে বলবেন প্লিজ?
আবেদনের কয়েকদিন পর আপনি নিজেই অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন।
ফ্ল্যাটের নামজারি ও হোল্ডিং এর নাম পরিবর্তন করার নিয়ম কি?
এবিষয়ে বিজ্ঞ একজন আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
আমার বাবা ফুফা থেকে এক কানি জমি ক্রয় করেন, ফুফা সে জমির দলিল বাবাকে দিয়ে যান, কিন্তু বাবা জমিটির মিউটেশন করেননি। সমস্যা হচ্ছে ফুফা যাদের থেকে জমিটি ক্রয় করেছেন দলিলসহ দেয়া সত্ত্বেও তারা সে জমির দাবি করছে। এখন আমাদের সবচেয়ে ভালো আইনি প্রতিক্ষেপ কোনটি নেয়া উচিত।
(ফুফা মারা গেছেন, ফুফাতো ভাইয়েরাও জমির দাবি করেন না)
আপনার নিকটস্ত কোন আইনজীবীর সাথে পরাামর্শ করার অনুরোধ করছি।
আমার দাদার সম্পত্তি তে আছি এবং আমার দাদির সম্পতিতে আমার চাচার সন্তান এবং এক ফুফু আছে। আমার বাবা এবং চাচা উভয় মারা গেছে,আমাদের চাচাতো ভাইদের সাথে ভালো সম্পর্ক নাই।তার কারন দাদার সম্পত্তির থেকে দাদির সম্পত্তি মূল্য ২০ গুন।বেশি।তাই তারা দাদির বাড়ি ভাড়া একাই ভোগ করছে এবং আমাদের দাদির বাড়িতে তে ডুকতেও দেয় না এখন আমি আমার দাদার বাড়ি এবং দাদির বাড়ি উত্তরাধিকার সূত্রে কিভাবে নামজাড়ি করতে পারি? আমাদের কাছেতো কোন দলিল নাই?
দলিল না থাকলে দলিল অবিকল নকল কপি তোলা যায়।
দলিল, পর্চা এবং নামজারি করার জন্য যে সব প্রয়োজনীয় কাগজ লাগবে তা তুললে কি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি আমরা আলাদা ভাবে নামজারি করতে পারবো, আর আমার চাচাতো ভাই,ফুপু যদি সম্মতি না দেয় তাহলে কি নামজারি করতে পারবো?
ধন্যবাদ আপনাকে। একটা প্রশ্ন। আমার দাদু মারা গেছে ৪০বছর আগে।এখনও আমার বাবা কাগজে কলমে জায়গা পাইনি।বড় ভায়ের কাছে সব দলিলাদি।উনি ঐ কাগজ পত্র দেয়না।আর আমার দাদুর যার থেকে জমি কিনেছেন তার নামে রয়েছে এখনও খতিয়ান।আমি কি করে তা আমার আব্বুর নামে নাম জারি করব????দয়া করে বললে উপকৃত হব
দলিল না দিলে দলিলের নকল তুলতে হবে। তারপর আপনার বাবার নামে নামজারি করতে পারবেন।
আস্সালামুআলাইকুম,
আমার বাবা ১০ শতক জমি ক্রয় করেন ।
পরে যার থেকে ক্রয় করেছেন তিনি মারা যাওয়াতে সেটি নামজারি করতে পারেন নাই ।
আমার বাবাও কিছু দিন আগে ইন্তেকাল করেন ।
এবং আমরা নামজারি করতে চাইলে ইউনিয়ন চেয়্যারম্যান জমি ক্রয়কৃত ব্যাক্তির ওয়ারিশ সনদ আমাদের দিচ্ছেন না ।
এখন আমাদের করণীয় কি….?
মোবাইল ঃ 01849749244
আপনার বাবার ক্রয়কৃত সম্পত্তি আপনাদের নামে নামজারি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ ভূমি অফিসে যোগাযোগ করুন।
Dhakay amar Dutta heba sutre pawa flat ache ! Ki bhabe nam jaree korbo, ami bideshe thaki !